
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো:
খুলনায় বৃষ্টিতেও স্বস্তি নাই থেকেই যাচ্ছে গরমের দাপট হঠাৎ হঠাৎ মেঘে স্বল্প সময়ের বৃষ্টিতে শরীর ভিজলেও ভ্যাপসা গরমে জাপটে ধরে ক্লান্তি করছে মেহনতি মানুষের জীবন।
সারাদেশের সাথে খুলনা বিভাগ জুড়ে দীর্ঘদিনের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বোচ্চ রেকর্ডের ঘরে থেকে তাপমাত্রা চোখ রাঙিয়ে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ নাজেহাল করে দিয়ে অবশেষে খুলনার আকাশে মেঘের ঘনঘটা সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি থাকলেও কমছেনা গরমের দাপট এখনো পর্যন্ত তাপমাত্রার ঘরে ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও অনুভূতি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রির সমান বৃষ্টির সাথে ভ্যাপসা গরম পাশাপাশি আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে মেঘের গরগরানি বিকট শব্দ এবং আবহাওয়াবিদদের তথ্যসূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী খুলনা জেলার আশপাশ এলাকা বটিয়াঘাটা, চালনা, ডুমুরিয়া, সাহাপুর,বিল ডাকাতিয়া এলাকা জুড়ে বজ্রপাত হয়েছে বেশ কয়েকবার তাতে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আতঙ্কিত মাঠে কর্মরত কৃষকরা পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়ার সাথে বজ্রসহ বৃষ্টি হলেও আজকের দিন পর্যন্ত বিভাগের কোথাও হয়নি শিলা বৃষ্টি ফলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা একেবারেই কম। মাঠে তরমুজ সহ কৃষকদের বিভিন্ন প্রকারের শাকসবজি, পটল, ঝিঙে, উস্তে, কুমড়ো অন্যান্য ফসল তবে বিগত দিনের অগ্নিস্বম ঝলসানো খড়ার সাথে গরমের উত্তাপে মাঠে থাকা এক ফসলি ফসলের চেহারা বিবর্ণ ও ফলনের বিঘ্ন ঘটলেও বর্তমান বৃষ্টির কারণে ফসলগুলো পূর্ণ জীবন ফিরে পেয়েছে নেতিয়ে থাকা পাতা হলুদ বিবর্ণ হয়ে যাওয়া গাছ আবারও সবুজ আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। তবে সব কিছু মিলে বিভাগ জুড়ে বৃষ্টির প্রভাব থাকলেও গরমের প্রভাব মোটেও কমছে না। অল্প খাটনিতে শরীর ঘামাচ্ছে মানবদেহে ঘামাচি উঠছে ফোঁড়া উঠছে জ্বর হচ্ছে সর্দি কাশি বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে ফলে হাসপাতাল মুখি হচ্ছে অসংখ্য রোগী পাশাপাশি শহর জুড়ে বাড়ছে এডিস মশার উপদ্রব যার কারণে ডেঙ্গু আক্রান্তে রয়েছে খুলনার মানুষ।
এদিকে খুলনা বিভাগীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানিয়েছেন চলমান আবহাওয়া আগামী আরো সপ্তাহ খানেক যাবৎ একই ধারায় অব্যাহত থাকবে কখনো রোদ বৃষ্টি কখনো গরমের উত্তাপ বাড়বে এমনকি মাঝেমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ও হতে পারে তিনি আরো বলেছেন আবহাওয়ার এই প্রতিকূলতাকে কেটে ওঠার পর পুনরায় গরমে তীব্রতা দেশজুড়ে আবারো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তবে আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শেষ নাগাদ পর্যন্ত ভারী বর্ষণে দেশ প্লাবিত করবে তারও আশঙ্কা তিনি দিয়েছেন। অপরদিকে খুলনা কৃষি অধিদপ্তর থেকে জানিয়েছেন বিগত দিনের কাঠফাটা রোদ আর গরমের উত্তাপে মাঠ বিল পানির অভাবে যে পরিমাণে শুকিয়ে চৌচির হয়েছে সেই পরিমাণে বৃষ্টি এখনো হয়নি ফলে বৃষ্টির প্রয়োজন আরো অনেক বেশি আর এখনকার প্রয়োজনের তুলনায় পরিমাণ মতো বৃষ্টি না হলে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হবে আর। মাঠে থাকা কৃষকদের পাকা ধান অধিকাংশ প্রায় ৯৯%ই ঘড়ে উঠেছে। ফলে বর্তমানে বৃষ্টি হলে মাঠে থাকা ফসল পুষ্ট ও চেহারা ভালো হয়ে ফলন ভালো দেবে।
এদিকে আবার বর্তমান আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে খুলনা নগরীর বেশ কিছু হাসপাতালের চিকিৎসকরা মত প্রকাশ করে বলেছেন আবহাওয়া এখন যে ধরনের তাল মাতাল খেলা খেলছে তাতে করে সাধারণ মানুষের জীবনের উপর ঝুঁকি বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যেমন পানি শূন্যতা রোগ ভাইরাস জনিত জ্বর আমাশা পাতলা পায়খানা ডেঙ্গু হাঁপানি শ্বাসকষ্ট এসব রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে কারণ আবহাওয়া কখনো বৃষ্টি কখনো মেঘ কখনো ছায়া কখনো অতীত তীব্র গরম সব মিলে সাধারণ মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই ছন্দপতন হয়েছে ফলে নগরীর প্রতিটি ঘরেই জরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় বেশি। আর বর্তমানে মানুষ দেহে জ্বরে আক্রান্ত হলে সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিনের নিচে কিছুতেই ছাড়ছে না জ্বরের তীব্রতায় মাথাব্যথা বমি বমি ভাব পেটে ব্যথা ও হাত পাও গিরা চাবানো সহ অসংখ্য উপসর্গ রয়েছে এই জ্বরের সাথে। তাই আমাদের হাসপাতাল গুলোতে বর্তমানে জ্বর ও পাতলা পায়খানা রোগীর সংখ্যা বেশি।