স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁনমারী এলাকা হতে অপহৃত ৩ বছরের শিশু আব্দুর রহমানকে জামালপুরের মেলাহন্দ থেকে উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। বুধবার রাতে মেলাহন্দ থানা পুলিশের সহায়তায় থানা সীমান্তের কাউটা বাইদ এলাকাস্থ ধানক্ষেতের পাশ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।তবে অপহরনের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।এর পূর্বে অপহৃত শিশুটির বাবা রবিন (২৭)বাদী হয়ে তার সৎ মা মমতাজ বেগম (৫৬)সহ অজ্ঞাত নামা আরো ২-৩ জন কে আসামী করে বুধবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।অপহৃত শিশুটির বাবা ও মামলার বাদী রবিন জানায়- তার বাবা ৬ মাস পূর্বে মামলার এজাহার নামীয় আসামী মমতাজ বেগম কে বিয়ে করে।তার সৎ মা শিশু সন্তানটিকে আদর করতেন।সে শহরের কালিবাজরস্থ একটি গোশতের দোকানে এবং তার স্ত্রী একটি গার্মেন্টেসে কাজ করে চাঁনমারিস্থ আয়েশা বেগমের বাড়ীতে ভাড়ায় বসবাস করত।তার সৎ মা একই এলাকার দুলু মিয়ার বাসায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলো।তারা স্বামী স্ত্রী উভয়েই সকালে নিজ নিক কর্মস্থলে চলে গেলে শিশুটিকে বাদীর সৎ মায়ের নিকট রেখে যায়।৪-৫ দিন পূ্র্বে তার বাবার সাথে সৎ মায়ের ঝগড়া ও মন মালিন্য হয়।ধারনা করা হয় তার বাবার উপর অভিমান করে সৎ মা শিশুটিকে অপহরন করে নিয়ে যায়।তিনি আরো জানায়-মঙ্গলবার(৭ ই মে)সকালে তারা স্বামী স্ত্রী উভয়েই নিজ নিজ কর্মস্থলে চলে গেলে শিশুটিকে প্রতিদিনের ন্যায় তার সৎ মায়ের নিকট রেখে যায়।পরে বেলা প্রায় ১২ টার দিকে রবিনের বাবা তার স্ত্রী আঁখিকে জানায়-শিশু সহ তার বাদীর সৎ মা সকাল নয়টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।তখন বাদী তার সৎ মায়ের মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে তা রিসিভ করেনি।এক পর্যায়ে বাদীর সৎ মা বাদীকে ফোন করে ১০ লাখ টাকা দাবী করে অন্যথায় শিশুটিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করে দিবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়।বিষয়েটি নিশ্চিত করে নারায়নগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল)জহিরুল ইসলাম বলেন-তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জামালপুর থানা পুলিশের সহায়তায় বুধবার রাত প্রায় ১১:৩০ মিনিটের দিকে জামালপুর থেকে আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তার বাবা মায়ের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
