
আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু,টাঙ্গাইলঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মীরনগর নঙ্গিনা বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চলছে দীর্ঘদিন ধরে একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। ভবনটির দেয়াল ও ছাদে ফাটল, ভীমে ধস এবং বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টার খসে পড়ায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, তিন কক্ষবিশিষ্ট ভবনের দুটি কক্ষ সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে। ক্লাস নিতে হচ্ছে সংকীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে। শিক্ষক কক্ষ নেই, নেই আসবাবপত্র রাখার উপযুক্ত জায়গা। বিদ্যালয়ের তিন পাশ ঘেঁষেই সড়ক, ফলে বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সংকট আরও বাড়ছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় তারা নতুন ভবন নির্মাণের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর আবেদন করেন। স্মারক নং–৩৮.০১.৯৩০০.৭৬.০০০.৯৯.১০৮.২২.২৮৭, তারিখ ২৬ মে ২০২২ অনুযায়ী আবেদনটি উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়। পরে এলজিইডির পরিদর্শন প্রতিবেদন (স্মারক নং–৪২৬, তারিখ ২০ জুন ২০২২) অনুযায়ী বিদ্যালয় ভবনটিকে “ঝুঁকিপূর্ণ” ঘোষণা করে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের সুপারিশ করা হয়।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৩৩ শতাংশ জমির ওপর ৬ জন শিক্ষক ও ১৫২ জন শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করছে। তবে ভবন ও সুরক্ষা সংকটের কারণে প্রতিদিনই আতঙ্কের মধ্যে পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের চলাফেরা করতে হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহছানুল কবীর (মকুল) বলেন,ভবনের পাশ দিয়েই নিয়মিত অটো, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও ট্রাক চলাচল করে। বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন আগে একটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। ভবনের অবস্থা এবং নিরাপত্তাহীনতা—দুই মিলিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ভয় নিয়ে ক্লাস করতে হয়। নতুন ভবন ও বাউন্ডারি ওয়াল এখন অত্যন্ত জরুরি।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার বলেন,বিদ্যালয়টির অবস্থা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অতি শিগগিরই প্রকল্প অনুমোদন হবে এবং নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা যাবে।”
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়টি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে।
এলাকাবাসী আশা করছে—দ্রুত ভবন নির্মাণ এবং বাউন্ডারি ওয়াল স্থাপন করা হলে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।




