কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, রাজধানীর ৩২ নন্বরের বঙ্গবন্ধুর বাসার মতো আমার বাসা ভেঙে যদি দেশে শান্তি আসে তাহলে আমার বাসা ভাঙার সমর্থন করছি। এ ঘটনায় আমি কোন দল নেতাকর্মীকে দোষারোপ করছি না। তবে এ ঘটনায় মামলা করা হবে। অপর দিকে বিকেলে বাসাইল উপজেলায় পূর্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশ নিবেন বলেও জানান।
রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরে নিজ বাস ভবন সোনার বাংলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছি না। প্রায় ২৬ বছর আগে আওয়ামী লীগ ছেড়ে নিজেই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রতিষ্ঠা করেছি। শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের সাথে রাজনৈতিকভাবে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের জনগণকে ভালোবাসি ও সম্মান করি।
সংবাদ সম্মেলনে তার ছোট ভাই শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকীসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে টাঙ্গাইল শহরের জেলা সদর সড়কের কাদের সিদ্দিকীর বাসা সোনার বাংলায় হামলা করে গাড়ি ও বাসার জানালার গ্লাস ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে।
বাসার কেয়ার টেকার রাজু মিয়া জানান, রাতে স্যার (কাদের সিদ্দিকী) দ্বিতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন। এসময় ১০/১৫ জন দুর্বৃত্তরা বাসায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং মই দিয়ে বাসার গেইট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে দুইটি গাড়ি ভাংচুর করে। এসময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
বাসাইলে কাদেরিয়া বাহিনী ও ছাত্র সমাবেশের ব্যানারে একইস্থানে পৃথক সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। শনিবার রাত রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. আকলিমা বেগম এ আদেশ জারি করেন। রোববার ভোর ৬ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানবীর আহাম্মেদ জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। দ্রুতই জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।