
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের কাজীরবাড়ি গ্রামে আলেয়া নামের এক গৃহবধূকে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুড়ীর বিরুদ্ধে। ওই স্বামীর নাম মো. সালাউদ্দিন। সে ওই গ্রামের আছান উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার নারী আদালতে ২০১৮ সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর থেকেই স্বামী সালাউদ্দিন পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২০১৩ সালে তার বিয়ের সময় দুই লক্ষ টাকা দেনমোহরে রেজিস্ট্রি কাবিননামার মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিছুদিন যাওয়ার পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুক হিসেবে দুই লক্ষ টাকা দাবি করতে থাকেন। আমার দরিদ্র পিতার পক্ষে যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় নানাভাবে অত্যাচার শুরু করে। এক পর্যায়ে স্বামী বিদেশে চলে গেলে শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবর মিলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে যৌতুকের টাকার জন্য ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূকে মারধর করে শিশু সন্তানসহ বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৩০ সেপ্টেম্বর আবারও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাবার বাড়িতে এসে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং না দিলে তাকে ঘরে তোলবে না বলে জানিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা নারী বিচার দাবি করে স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলার কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী আলেয়া আক্তার জানান,তার দরিদ্র পিতার পক্ষে যৌতুকের দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় তার একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্ত স্বামী সালাউদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযো করা সম্ভব হয়নি।