
আবুজর গিফারী, উপজেলা প্রতিনিধিঃ
পাবনার বেড়া উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় মোট ৬০ জন কৃষকের মাঝে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য আধুনিক পদ্ধতির এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিদ নুসরাত কবির বলেন বাংলাদেশে প্রতি বছর পেয়াজের ব্যাপক উৎপাদন হওয়া সত্বেও পচন ধরে নষ্ট হওয়ায় প্রতিবছর হাজার হাজার টন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু এবছর কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণের কারণে পেঁয়াজের পচন নাই বললেই চলে বলে।কৃষিবিদ নুসরাত কবির আরো বলেন, সেই প্রাচীনকাল থেকে এই অঞ্চলের কৃষকেরা বাঁশের মাচা ও ঘরের চাঙে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে থাকেন, যার ফলে সংরক্ষিত পেঁয়াজের এক চতুর্থাংশ পেঁয়াজ পচে যায়। এভাবে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা ব্যাপকভাবে প্রতিবছরই ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন।
আধুনিক এই পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করলে পেঁয়াজে পচন ধরে না, এর ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকরা পেঁয়াজ সংরক্ষণে আগের চেয়ে অনেক বেশি লাভবান হবেন।
পাবনার বেড়া উপজেলার এয়ার ফ্লো মেশিন প্রাপ্তদের মধ্য মাসুমদিয়া ইউনিয়নের তালিম নগর গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম, (পিতাঃ হাজী মেহের মৃধা), এবং একই ইউনিয়নের যদুপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ হারুন অর রশিদ, (পিতাঃ মোঃ আব্দুর রহমান মোল্লা), এর খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, এবছর কৃষি প্রণোদনার আওতায় এয়ার ফ্লো মেশিন পেয়ে তারা উভয়ই কয়েক গুণ বেশি পেঁয়াজ সংরক্ষণ করছেন। তারা জানান যে, বেড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত এয়ার ফ্লো মেশিন ব্যবহার করে তারা অনেক ভালো ফলাফল পাচ্ছে। এবছর তাদের পেঁয়াজ একদম পচেনি, তাদের পেঁয়াজের অবস্থা অত্যন্ত ভালো, এতে তারা অত্যন্ত খুশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকের আর্থিক ক্ষতির কথা বিবেচনা করে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণে আগ্রহী কৃষকদের মাঝে আধুনিক মেশিন বিতরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেড়া উপজেলা ইতিমধ্যেই ৬০জন কৃষকের প্রত্যেককেই একটি করে এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণ করেছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, বেড়া উপজেলা ছাড়াও পাবনা জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও আধুনিক এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
বেড়া উপজেলায় এয়ার ফ্লো মেশিন প্রাপ্ত অন্যান্য কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় যে, ইতিমধ্যে এয়ার ফ্লো মেশিন কৃষকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পেঁয়াজের পচন রোধে আগামীতে এই ধরনের কর্মসূচি আরো বৃদ্ধি করা দরকার বলে তারা মনে করেন।