কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ১০ বছর পূর্বে ব্রীজ নির্মান হয়েও জনগণের কোন কাজে আসেনি। যানবাহন চলাচলের ব্রীজটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। পরাধিনতার শৃংখোল মুক্ত হওয়ার স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিবাহিত হওযার পরও পরাধিনতা , দূর্নীতির গ্লানি কাটেনি আজও। এখনও বৈমাত্রিক আচরণ চলমান রয়েছে। রৌমারী উপজেলাধীন যাদুরচর ইউনিয়নের পুরাতন যাদুরচর গ্রামের ভিতর দিয়ে যাতায়াতের গ্রামীণ সড়কটি একটি ব্রীজের অভাবে ১০টি গ্রামের মানুষ ও যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার। দুবলাবাড়ি, কলাবাড়ি, বাওয়াইরগ্রাম, যাদুরচরসহ ১০টি গ্রামের যানবাহন পথযাত্রী ও স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থিদের দূভোর্গ পোহাতে হয়। ওই অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি লাঘবে ২০১৫ সালে পুরাতন যাদুরচর গ্রামীণ সড়কটি যানবাহন চলাচল যোগ্য করতে ত্রাণ শাখার একটি ব্রীজ নির্মাণ করে।
ওই সময় ব্রীজটি নির্মাণ করায় এলাকার মানুষ আশার আলো দেখে। একটি গ্রামীণ সড়কের মাঝখানে সরেজমিন থেকে প্রায় ২০ফিট উচু করে প্রায় ৫০ ফিট লম্বাএকটি ব্রীজ আনুমানিক ৪০ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হলেও জনগণের কোন কাজে আসেনি। একদিকে সড়ক থেকে ব্রীজটির উচ্চতা অনেক বেশী, অপরদিকে ব্রীজটিতে উঠানামার জন্য দুই পার্শ্বে এপোচে মাটি কেটে যানবাহন চলাচল উপযোগী না করায় ব্রীজটি ওই এলাকার মানুষের কোন কাজে আসছেনা। এব্যাপারে সরেজমিনে ব্রীজটি দেখতে গেলে ওই এলাকার সুরুজ্জামাল, আনিচ, রুহুল আমিন, ময়নাল অভিযোগ করে বলেন, ১০বছর আগে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। এসব যেন দেখার কেউ নেই। প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রীজটি জনগণের কাজে আসছেনা এনিয়ে রৌমারী উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামুসুদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাজটি আমার সময়ের নয়। এমনকি ব্রীজটি এমন নাজেহাল অবস্থা এষিয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। সামনে বরাদ্দ এলে কাজটি করে দেওয়ার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।