
মোঃসৈয়দ আলম। উপজেলা সংবাদদাতা।
বান্দরবানের লামায় আবুল টোব্যাকো কোম্পানির অফিসে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা ১. মারুফুল প্রকাশ আরিফ(৩ ), পিতা বাদশা মিয়া, সাং পদ্মাছড়া, নয়াপাড়া ২নং ওয়ার্ড, পূর্ব ভেউলা ইউপি, চকরিয়া-কক্সবাজার। ২. নাঈমুল ইসলাম (সাগর) (৩১), পিতা আবুল কালাম, সাং মাজেরপাড়া ৬নং ওয়ার্ড, লক্ষাচর ইউপি, চকরিয়া- কক্সবাজার। ৩. আব্দুর রহিম(৩৬), পিতা মৃত সাহেব আলী, ৬ নং ওয়ার্ড, লামা পৌরসভা, বান্দরবান।
গত ৯ মে ভোর রাতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একদল অজ্ঞাতনামা ডাকাত আবুল কোম্পানির অফিস কক্ষে ঢুকে স্ট্যাফকে মারধর ও বেঁধে রেখে আলমারিতে রক্ষিত এক কোটি পঁচাত্তর লাখ ছয় শত আটত্রিশ টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনায় ১০ মে লামা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামী করে মামলা হয়। জানা যায়, ঘটনার সময় ডাকাত দল লোহার সিন্ধুক ভাঙার ব্যার্থ চেষ্টা করে। তৎসময় লোহার সিন্ধুকে রক্ষিত ছিল আরো সাড়ে তিন কোটি টাকা। লামা লাইনঝিরি নামক স্থানে প্রধান সড়ক ঘেঁষে আবুল টোব্যাকো’র তামাক ক্রয় কেন্দ্র। তার পাশে একটি বিল্ডিং দোকান প্লটে তাদের অফিস কক্ষে এই ঘটনা ঘটেছে।
১২ মে লামা থানার ওসি তদন্তের নেতৃত্বে পুলিশ টিম পাশ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলা ও লামা পৌরসভায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। এর মধ্যে একজনকে বান্দরবান জেল হাজতে পাঠান, দুইজনকে জিজ্ঞাবাদের জন্য রিমান্ডে দেন আদালত। লামা থানার ওসি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, তদন্ত ওসি এনামুল হক জানান, মামলার পর পুলিশ সুপার ঘটনাটি নিবিড় মনিটরিংয়ে ওপর্যবেক্ষণে রেখেছে। এরই মধ্যে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি ডাকাত সদস্যদেরকে আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।