
মোঃ কামাল উদ্দিন জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
ঐতিহাসিক কারনেই সময়ের সাথে বাঙালি জাতির প্রেরনা ভাষা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে রয়েছে শহীদ মিনার |এই শহীদ মিনার তৈরীর পেছনেও রয়েছে এক সূদীর্ঘ ইতিহাস |
ঐতিহ্যবাহী জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলায় স্থাপিত হয় ১৯৯৫ সালে মির্জা আজম কলেজ |
কলেজের ভালো ফলাফলের সাফল্যের কারনে ধীরে ধীরে ডিগ্রি কলেজ থেকে বিশ্ব বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় |মির্জা আজম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ জামালপুর জেলার অন্যান্য কলেজের তুলনায় কোন অংশেই কম নয় |দক্ষিণ মাদারগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মির্জা আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ সব দিকে সাফল্য থাকলেও কলেজে আজ পর্যন্ত স্থাপিত হয়নি কোন শহীদ মিনার |
১৯৪৭সালের নভেম্বর ডিসেম্বর ভাষার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হলেও ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে আন্দোলনের রূপ নেয় যা ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি চরম প্রকাশ ঘটে |ঐ দিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাএরা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে নেমে আসলে পুলিশ তাদের উপর গুলি চালায় এতে সালাম,বরকত রফিক জব্বার সহ বেশ কয়েক জন আহত ও নিহত হয় |
তারপর থেকেই বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারি স্থাপনায় শহীদ মিনার স্থাপন করা হয় |হাজার হাজার ছাএছাএী থাকলেও শহীদের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা জানানো হয় না একুশে ফেব্রুয়ারির দিন
৩০ বছরেও শহীদ মিনার স্হাপন না হওয়ায় কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মির্জা আজম জানে কি কারনে শহীদ মিনার স্থাপন হয় নাই |
এ বিষয়ে বর্তমান কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সভাপতি হয়েই মিটিংয়ে শহীদ মিনার স্হাপনের বিষয়ে কথা বলেছি দ্রুত শহীদ মিনার স্হাপন করা হবে |
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষক বলেছেন মির্জা আজম কলেজে আজও কোনদিন বাঙালি জাতির ঐতিহ্য শহীদ মিনার হবে কিনা সন্ধিহান |
কলেজের অনেক ছাত্র-ছাত্রী বলেছেন একুশে ফেব্রুয়ারির দিন আমরা কলেজে আসি না অন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করি|
মির্জা আজম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে শহীদ মিনার না থাকায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কলেজে সবকিছুই হয় কিন্তু শহীদ মিনার হয়না | ৩০ বছরের মধ্যেও মির্জা আজম কলেজের শহিদ মিনার স্হাপন হয়নি এই বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাদারগঞ্জের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রিন্সিপাল মহাদয়ের কাছে শুনে তারপর জানাবো |
১৯৯৯সালের ১৭ইনভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশ সমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে |আর শহীদদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ রাখতে প্রতীক হয়ে রয়েছে শহীদ মিনার |
২০২৫ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে কলেজের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়নি কারন শহীদ মিনার নাই শুধু আলোচনা ও দোয়া করে দিবসটি কলেজের হলরুমে পালিত হয় |