এম আজিজুল হক, একজন অভিমানী মুক্তিযোদ্ধার নাম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শুরু থেকেই তিনি অংশগ্রহণ করেন। প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের অর্থ সংগ্রহের জন্য বিভিন্নভাবে নিজেকে নিয়োজিত করেন। গাড়ি ধারাবাহিকতায় খোলা ট্রাকে বসে সংগীত পরিবেশন করে গামছা পেতে জনসাধারণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহে অংশগ্রহণ করেন এসএম আজিজুল হক। তরুণ রায়ের নেতৃত্বে একদল শিল্পী এ কাজে অংশগ্রহণ করেন। সেই সময় আব্দুল মজিদ মোল্লার নেতৃত্বে বেড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যায়।একদল মুক্তিযোদ্ধা নগরবাড়ি ঘাটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে কিন্তু পাকিস্তান বিমান বাহিনীর হামলায় সেটি বিধ্বস্ত হয়।সেই প্রতিরোধে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছিল ইপি আর জোয়ান ও স্থানীয় বাসিন্দারা।এরপর সাঁথিয়া থানাধীন ডাব বাগানে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল প্রতিরোধ গড়ে তোলে, সেটিও পাক হানাদার বাহিনীর প্রবল আক্রমণে তছনছ হয়ে যায়। এস এম আজিজুল হক জানান যে, সে তাড়াশ, শাহজাদপুর, সাথিয়া ও ফরিদপুর থানার বিভিন্ন অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে এসএম আজিজুল হক জানান যে, সে পাবনার বাবু, আলো, বেড়া বনগ্রামের মানিক, আজিজ, জয়নাল, বরকত এ খোদা মতি, সান্যাল পাড়ার আব্দুল হাই, জোড়দাহ গ্রামের আব্দুস সবুর, বৃষালিকা গ্রামের মজনু, আব্দুস সাত্তার, উল্লাপাড়ার হিরো এরকম অনেকের সাথেই তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বিভিন্ন অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন। উল্লাপাড়ার আব্দুল লতিফ মির্জার নেতৃত্বে বর্ষা মৌসুমে অনেক অপারেশনে অংশগ্রহণ করেছেন। আগস্টে ডায়রিয়া হওয়ার কারণে নিরাপদ স্থানে চলে যান চিকিৎসার জন্য। সুস্থ হয়ে তিনি পুনরায় সহযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগদান করেন।
প্রবীণ সাংবাদিক আজিজুল হক এক প্রশ্নের উত্তরে জানান যে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আমি আমার নাম তালিকাভুক্ত করতে চাইনি, তাই এতদিন নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম। বর্তমান সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন, সেখানে তার নাম যেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়।