
রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
রৌমারীর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ’র বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে একাধীক জাতীয় পত্রিকায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনের নজরে আসে। এঘটনায় এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝর বইছে । পরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন উলিপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিসবাহুল ইসলামকে দায়িত্ব ভার দেন। তিনি গত ২৭ অক্টোবর থেকে তার উলিপুর কার্যালয় থেকে এ তদন্ত কার্যক্রম দায় সারা ভাবে শুরু করেছেন যা চলমান রয়েছে।
রৌমারী খাদ্যগুদাম সংশ্লিষ্ট ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং অনুসন্ধানে জানা গেছে মো. শহিদুল্লাহ ৮ডিসেম্বর ২০২২ সালে রৌমারীর ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) হিসাবে যোগদান করেন। তিনি আ‘লীগ পন্থি একজন কর্মকর্তার সুবাদে যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে সাধারণ নিরীহ মানুষকে হয়রানী, ক্ষমতার অপব্যবহার, কর্মচারীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ, বস্তা ক্রয়ে কমিশন বাণিজ্য, বছরের পর বছর চাতাল বন্ধ থেকেও চাল সংগ্রহ, খাদ্যবান্ধব ও খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস)ডিলারদেরকে ওজনে কম এবং খাবার অনুপযোগী চাউল দেয়ার অভিযোগ, ভাড়াটে লোক দ্বারা বস্তায় বুঙ্গামেরে চাউল বেড় করে নেওয়া, সরকারী চাল কালোবাজারে বিক্রয়, ডিও‘র চাল খাদ্যগুদামে পড়ে থাকা, মিলারদের কাছ থেকে খাবার অযোগ্য চাল নিয়ে ঢোকান, বিল প্রদানে ঘুষ গ্রহন, প্রতি নিয়তই মিথ্যা গুজব ছড়ান এবং অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়। এছাড়া খাদ্যগুদামের কিছু অসাধু কর্মচারীর সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা তথ্য জানতে চাইলে মামলাসহ নানা প্রকার ভয়ভীতি দেখান। এছাড়া তদবির ও একক রাজত্ব সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
উলিপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিসবাহুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে খুব শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল ইসলাম কাবীর খানের টেলিফোন নম্বরে একাধীক বার কল করেও ফোনে পাওয়া যায়নি।