অসময়ের কয়েকদিনের টানাবর্ষণে রৌমারী-রাজিবপুর 'দু’উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে রোপা আমন, বাদাম ও শীতকালিন ফসলের ক্ষেত সমূহ। এছাড়া গত ৩ দিন ধরে টানাবর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রোপা আমন,বাদাম,মরিচ, বেগুন,মুলা,লাল শাক,পটল,ঝিংগাসহ বিভিন্ন জাতের শীতকালিন ফসল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় , চলতি মৌসুমে আগাম জাতের রোপা আমন,বাদাম, সেই সাথে শীতকালিন সবজী, কয়েকদিনের টানাবর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে যায় ।
কয়েকদিনের টানাবর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আশা পাহাড়ী ঢলের পানিতে রৌমারীর চর আলগারচর, খেওয়ারচর, ইজলামারী, চরইজলামারী, ভুন্দরচর, চৎলাকান্দা, ওকড়াকান্দা ও রাজিবপুরের বালিয়ামারী, বদরপুর, কেছুমারির চর, মিয়া পাড়াসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি স্বাধিত হয়েছে। টানা বৃষ্টি থাকলে আরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাদাম চাষি মহির উদ্দিন,সোনা মিয়া, বদিউজ্জামান,রিপন মিয়া,সাকিম উদ্দিন, রোপা আমন ও শাকসবজি চাষি সোলেমান, আবু তাহের, জোসন আলীসহ আরো অনেক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন, ফসল রোপণে যে খরচ হয়েছে। অসময়ে বৃষ্টিপাতে আমাদের যেভাবে ক্ষতি হচ্ছে, আমরা কৃষি পন্ন উৎপাদনে দূর্বল হয়ে গেলাম। বর্তমান সরকার যদি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রতি সু-নজর না দেয়, তাহলে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবো না। তারা আরও বলেন, বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে আকাশ অনুকুলে না আসা পর্যন্ত আরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
নিম্নাঞ্চল প্লাবিত অঞ্চলে কোন কৃষি বিভাগের উপসহকারিকে খুঁজে পাওয়া যায় নি।
এবিষয় রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধরীর কাছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, কয়েকদিন ধরেই টানাবৃষ্টি হচ্ছে। অসময়ের বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রোপা আমন, উন্নতজাতের বাদামসহ শীতকালিন ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে, আরও ক্ষতির আসঙ্কা রয়েছে। তবে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় এখন পর্যন্ত ক্ষতির নিরুপণে ৩০ হেক্টর জমির হিসাব পেয়েছি ।