
কনটেন্ট ক্রিয়েটিং ভাবনা – ইমরান হোসেন
লেখাটা লিখছি মূলত কনটেন্ট ক্রিয়েটিং ও মুঠোফোন নিয়ে। লেখাটা লিখতে গিয়ে আমাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। যেকোনো লেখা লিখতে গিয়ে মোটামুটি একটু পড়াশোনা করতে হয়। কনটেন্ট ক্রিয়েটিং বিষয়ে নেগেটিভ ধারণা থেকে মূলত লেখাটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেই। লিখতে গিয়ে দেখলাম কনটেন্ট ক্রিয়েটিং এর কুফলের চেয়ে সুফল বেশি। কিন্তু এর নেগেটিভ দিক গুলো খুবই মারাত্মক। যেটা স্লো পয়জনের মত আমাদের ক্ষতি করছে।এটার সুফল হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু কুফলটা ক্যান্সারের মতো করে আমাদের মধ্যে বিস্তার করছে। মানে যখনই এই কুফলটা ধরা পড়বে তখন আমাদের আর কিছুই করার থাকবে না।
কনটেন্ট ক্রিয়েটিং করে সফল ও জনপ্রিয় হয়েছে বাংলাদেশে অনেকেই আছে। সফল অনেক মানুষ আছে যাদের মধ্যে একজন হলো মাহি। আমি বলতে চাচ্ছি সাজিদ হোসেন মাহির কথা।যার ফলোয়ার সংখ্যা এখন এক মিলিয়ন। আরো আছে গ্রাম থেকে উঠে এসে সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর আব্দুল্লাহ আল রিয়াদ। উম্মে কুলসুম পপি। আয়মান সাদিক আরজে কিবরিয়া তাদের কথা সকলেরই জানা। সেদিক আর পাশাপাশি রয়েছে নাইবা গেলাম।
সফলতার পাশাপাশি এর রয়েছে মারাত্মক ক্ষতিকর দিক –
প্রথমত এই লেখাটার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কাউকে মনে আঘাত দেওয়ার জন্য এই লেখাটি লিখছি না। একজন সাধারন মানুষ হিসেবে, একজন অভিভাবক হিসেবে এবং একজন পিতা হিসেবে লেখাটি লিখতে বাধ্য হচ্ছি।।
কনটেন্ট ক্রিয়েটিং এর নামে এখন যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এখন সময় এসেছে প্রতিকার করার। আয়মান সাদিক, আরজে কিবরিয়া কন্টিনেন্ট ক্রিয়েটিং করে থাকেন বিশেষ কিছু বিষয় নিয়ে যেখানে দেশ ও জাতির শিক্ষণীয় বিষয় থাকে। কিংবা বিশেষ কিছু বার্তা থাকে যা দ্বারা দেশ ও জাতি উপকৃত হয় বলে আমি মনে করি । আবার কথায় কথায় কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি –
হাই ভিউয়ার তোমরা কেমন আছো? আশা করি ভালো আছো? আমি এখন দেখাবো আমার ছোট্ট বাবুটি কিভাবে পটি করে। আবার হ্যালো বন্ধুরা আজকে দেখাবো…. ইত্যাদি ইত্যাদ। এতেও যদি ফ্যান ফলোয়ার আর ভিউ না বাড়ে তাহলে শুরু হবে সুন্দরভাবে সাজগোজ করে লাইভ প্রোগ্রাম। সেখানে কি ধরনের কথা হয় সেটা না হয় নাই বললাম। লেখাটির শেষ করব মুঠোফোনের কিছু ক্ষতিকারক বিষয় নিয়ে। ক্ষতিকারক বিষয়গুলো লিখেছেন, শিক্ষক বাতায়নের একজন শিক্ষক মোসাম্মৎ আসমা আক্তার। তিনি তার লেখায় মুঠোফোনের দশটি উল্লেখযোগ্য ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরেছেন -ঘাড় ব্যথা, চোখের জ্যোতি কমে যাওয়া, কানে কম শোনা, অন্থি সন্ধি গুলোর ক্ষতি, শুক্রাণু কমে যাওয়া,নোমো ফোবিয়া, হঠাৎ রিংটোন সোনা, মেজাজ কিস খিটখিটে হওয়া, চিন্তাশক্তি কমে যাওয়া, পর্নো আসক্তি।
মুঠোফোনের অন্যতম ক্ষতিকারক দিক হিসেবে আমার মনে হয়েছে শিশু কিশোরদের মধ্যে পারিবারিক মূল্যবোধ বিনষ্ট হওয়া ও মা বাবার উপদেশ না মানার প্রবণতা।