
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি :
ঢাকার ধামরাইয়ে চটপটি খাওয়াকে কেন্দ্র করে থাপ্পড় ও কিল ঘুষিতে মাহবুবুর রহমান (৫০)নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এঘটনায় নিহতের বাবা আঃ বারেক বাদি হয়ে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাত ৭ টার দিকে ধামরাই পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ডের আইঙ্গন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মাহবুবকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মাহবুব ধামরাইয়ের সদর ইউনিয়নের স্বর্ণখালী এলাকার বারেক ব্যাপারীর ছেলে। অভিযুক্ত বজলু ধামরাই পৌরসভার আইঙ্গন এলাকার মৃত জুলমত আলীর ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মাহবুব রহমানের সাথে চটপটি দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটি হলে পার্শবর্তী মুদি দোকানদার বজলু এসে মাহবুবের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও সংবেদনশীল স্থানে আঘাত করে এতে মাহবুব মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। উপস্থিত জনতা মাহবুবকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের টহল টিম ঘাতককে আটক করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নুর ইসলাম বলেন, ’মাহবুব ভাই চটপটি খাইয়া দোকানদারকে বলছে, ’’ওই ব্যাটা তর চটপটি এরকম টক কেন? বাসি মাল বেচছ’’, তহনই চটপটিওয়ালা চেইতা গেছে। তর্কাতর্কি থেকে মাহবুব তখন চটপটিওয়ালারে থাপ্পড় দিছে। তখন চটপটিওয়ালার বাড়িওয়ালা বজলু ভাই, যে ওই পিছনেই মুদি দোকান করে সে আগায় আসে। আইসাই মাহবুব ভাইরে দুইটা থাপ্পড় দিছে। আমি তাগো থামায় দিছি। তখন আরও একবার তারা লাইগা গেছে। তখন মাহবুব ভাইরে আরও দুই তিনটা চর-ঘু্সি দিছে। মাহবুব ভাই চটপটির দোকানের পাশে মাছের খাড়ির ওপর পড়ে গেছে। তখন তারে উঠায়া পাশের একটা হোটেলে নিয়ে বসাইছি। কিছুক্ষণের মধ্যে সে টইলা গেল। পরে হাসপাতালে নিছে। শুনলাম মারা গেছে।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা: আহমেদুল হক তিতাস বলেন, মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। মরদেহের গায়ে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত বজলুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান।