
মোঃ আশরাফুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার.
আজ বুধবার ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি শোকের।বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ এক দিন আজ। মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দান-খয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন।
৬১ হিজরির এই দিনে ফুরাত নদীর তীরবর্তী কারবালায় শহীদ হন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। তিনি হজরত আলী (রা.) ও হজরত ফাতেমার (রা.) পুত্র।
হজরত আলী (রাঃ)এর মৃত্যুর পর খলিফা হন হজরত মুয়াবিয়া (রা.)। জীবদ্দশাতেই তিনি পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরাধিকার মনোনীত করেন। ইয়াজিদের কাছে বাইয়্যাত নিতে অস্বীকৃতি জানান ইমাম হোসেন। প্রতিবাদে মদিনা ছেড়ে কুফায় হিজরতের জন্য যাত্রা করেন।পথে কারবালায় থামেন সঙ্গীদের নিয়ে। হোসেন (রা.) ও তাঁর অনুসারীদের আটক করে মদিনায় ফিরিয়ে নিতে ইয়াজিদের নির্দেশে উমর ইবনে সাদ আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে।
আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে ইমাম হোসেনের শিবিরে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তারা। নারী-শিশু তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়লেও ইমাম হোসেন আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানান। ১০ মহররম অবরোধের বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে ইমাম হোসেন ও তাঁর ৭২ সঙ্গী শহীদ হন। শিমার ইবনে জিলজুশান কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে মহানবীর দৌহিত্রকে হত্যা করে।
কারবালার শোকাবহ স্মরণ ছাড়াও মুসলমানদের কাছে ১০ মহররম গুরুত্বপূর্ণ দিন। শিয়া মতাবলম্বীরা ইমাম হোসেনের শোকে এ দিনে মাতম করেন। রাজধানীর হোসেনী দালান থেকে আজ প্রধান তাজিয়া শোকযাত্রা বের হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানেও হবে তাজিয়া মিছিল।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, ১০ মুহাররম কেয়ামত হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে এই দিনে। মহানবী (সা.) আশুরার দিনে রোজা রাখতেন বলে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে। তাই আশুরার দিনে সুন্নি মুসলমানরা রোজা রাখেন, নফল ইবাদত করেন।
আশুরা উপলক্ষে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারবালার শিক্ষায় জীবন গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আশুরা উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।