ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি-লঞ্চ পার হতে পাড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাচঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। এই নৌরুটে চাপ নেই ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের। ভোগান্তি ছড়াই এই নৌরুটে স্বস্তির ঈদযাত্রা।ঢাকাগামী পশুবাহী ট্রাক পারাপারও হচ্ছে নির্বিঘ্নে। ঘাটের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়াতে মোতায়েন রয়েছে বাড়তি পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপার বেশ কমে গেছে। কমেছে যাত্রী ভোগান্তিও। তবে ঈদ উপলক্ষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী, যানবাহন ও পশুবাহী ট্রাক নির্বিঘ্নে পারাপার করতে আগে থেকেই নানান প্রস্তুতি নিয়েছিল ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের যাত্রা নিবিঘ্নে করতে এক সাথে কাজ করছে বিআইডাব্লিউটিসি, বিআইডাব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা। এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন পাড়াপাড়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে রয়েছে বড় ছোট ২৩টি ফেরি ও ৩০ টি লঞ্চ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ডিজিএম খালেদ নেওয়াছ বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনগুলো নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে পারাপারের জন্য ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এজন্য দুর্ভোগ ছাড়াই যাত্রী ও যানবাহনগুলো পারাপার হচ্ছে।’
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. গোলাম আজাদ খান বলেন, ঘাটের শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স কাজ করছে। পাশাপাশি পশুবাহী ট্রাকগুলো যেন ঘাটে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া নির্বিঘ্নে ঢাকার কোরবানির হাটে যেতে পারে সে ব্যাপারে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।