দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ চোড়া পথে দেদারসে ঢুকছে ভারতীয় গরু ফলে দুশ্চিন্তার ভাঁজ খুলনার খামারীদের কপালে। আর এতে করে অভিযোগের তীর ছুড়ছে সরকারের দিকে। তবে এ বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে দেশের বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের কর্তারা মুক্তমত প্রকাশ করে বলেছেন অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের ওপর কঠোর নজরদারি রেখে সরকার যখন হাগডাকের সাথে নিষেধাজ্ঞাও প্রজ্ঞাপন জারি করে ঠিক তখন এক শ্রেণীর কুচক্রী মহল তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য স্রোতের নৌকা উল্টো উজানে টানতে শুরু করে আর এতে করে দেশ তথা দেশের মানুষের ক্ষতি সাধিত করার পায়তারায় মেতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে তাদের কার্যসিদ্ধি চরিতার্থে মগ্ন থাকে । আর ঠিক সেই স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করছে আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে
সরকারের সকল বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে দেশের কিছু সংখ্যক অর্থলোভী অসাধু সিন্ডিকেট কালোবাজারি ব্যবসায়ীদের জোকসাজ তৎপরতায় এপার বাংলা ওপার বাংলার চোরাকারবারি সিন্ডিকেট প্রধানদের সাথে আঁতাত এবং সীমান্তবর্তী প্রশাসনের সাথে গোপন সখ্যতার মধ্যমে দেশের বিভিন্ন ভারতীয় সীমান্ত নদী পেরিয়ে কাঁটাতারের বেড়া টপকিয়ে লক্ষ লক্ষ গবাদি পশু দেশের অসংখ্য খামারি ব্যবসায়ীদের সর্বনাশ করতে দেদারসে ঢোকাচ্ছে ভারতীয় গরু আর এতে করে যেমন সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে। ঠিক তেমন ক্ষতির মুখে দেশের অসংখ্য খামার ব্যবসায়ীরা
ফলে লাভবান হবে অসাধু সিন্ডিকেট কালোবাজারী ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা আর দুরভাবনার অসণী কালো আঁধারে যেঁপটে ধরেছে দেশের সারা বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে পশু লালন পালনকারী সকল খামারিদের। কারণ তাদের অভিযোগ একটাই আমরা বছর ধরে শ্রম ো অর্থ সহায় সম্বল সবকিছু দিয়ে গবাদি পশু গুলো মোটাতাজা করে কোরবানি যোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করে কিছু পয়সা লাভ করে ঘরে তোলার প্রত্যাশায় থাকি আর ঠিক শেষ মুহূর্তে যদি ভারতীয় গরু আমদানির মধ্য দিয়ে কোরবানি পশুর হাট সয়লাব হয় তাহলে দেশের উৎপাদন রিষ্ট্রপুষ্ট ভালো জাতের গরুর চাহিদা ক্রেতাদের মাঝে হঠাৎ করেই হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ফলে দেশি গরুর ব্যাপারীরা মেহনতী ও পরিশ্রমের স্বপ্নর চাহিদা অনুপাতে মূল্য কুমিয়ে দিতে বাধ্য হয় কারণ ভারতীয় গরু সাইজ অনুপাতে অনেকটাই মূল্য কম যার ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা সামর্থ্য অনুযায়ী সাইজ দেখে ভারতীয় গরু কিনতে আগ্রহী হয়।
তখন আমাদের মাথায় হাত দিয়ে বসা ছাড়া কোন উপায় থাকে না গত বছরেও ঈদের মাত্র পাঁচ-ছয় দিন আগে হঠাৎ করে ভারতীয় অসংখ্য গরু দেশের সকল স্থানেরই কোরবানি পশুর হাটে কমবেশি ছড়িয়ে গিয়েছিল যার কারনে দেশের অনেক খামার ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের থেকে ঋণ নিয়ে যে সকল গরু গুলো লালন-পালন করেছিল সেই টার্গেট অনুযায়ী তারা বিক্রি করতে না পেরে চাহিদার থেকে অনেক কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে এমন কি অনেক খামারি গরু খামারে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে তার মধ্যে আমার ছিল ছয়টি গরু ভারতীয় গরু হাটে আসার পূর্বে চারটি বিক্রি করতে পেরেছিলাম আর দুটির দাম ক্রেতারা এতটাই বেশি কম বলেছিল যার কারণে বিক্রি না করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছি আর সেই গরু দুটো গত বছর থেকে পুনরায় লালন পালন করে এ বছরও হাটে এনেছি বিক্রি করার লক্ষ্যে তবে এ বছরও যদি ভারতীয় গরু এসে সয়না হয় তাহলে আমাদের আর করণীয় কিছু থাকবে না বহু পর্যন্ত ঋণের বোঝা টানতে হবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ের উপরে যদি কঠোর কোন পদক্ষেপ নিয়ে ভারতীয় চোরাকারবারিদের দমন করতে পারত তাহলে আমাদের মতন সাধারণ দেশের খামার ব্যবসায়ীরা বছর শেষে কিছু পয়সার মুখ দেখতে পারতো। কিন্তু সরকার প্রতিবছরি কোরবানি ঈদ আশার মাঝখানেক আগে হাগডাগ করে সাংবাদিকদের সামনে বলে দেশের ইন্ডিয়ান গরু ঢুকতে দেওয়া হবে না আর যারা ঢুকাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে সরকারের সকল কথা আজ পর্যন্ত কোনদিন কার্যকর হয়নি আর হবেও না তাও আমরা জানি।
এসব কথা বলেছেন খুলনার দিঘলিয়া এলাকার খামার ব্যবসায়ী আলতাব হোসেন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন দেশের প্রশাসন জানে কখন কিভাবে কোন সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে জোড়া পথে গরু ঢুকছে আর তাদের সহযোগিতা না হলে হাজারে লাখেলাখে করুন নদীর ছাত্রী এ কাঁটাতার ডিঙিয়ে এনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিচ্ছে আর এটা কোন এমন কোন ছোট পণ্য না যেটা পকেটে লুকিয়ে আনলেও মানুষের চোখে বা নজরে পড়বে না হাজার হাজার গরু দৃশ্যমান হচ্ছে প্রতিনিয়তই সীমান্তবর্তী প্রশাসন সহ সাধারণ মানুষের নজরে। অথচ তা এর বিরুদ্ধে কোন তৎপরতা নেই তাদের এমনকি এর প্রতিরোধের ক্ষেত্রে তাদের কোন মাথা ব্যথা ও নই ফলে প্রতিবছরই কোরবানি ঈদের হাটে এসে চোখের পানি ঝরিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের মতন অসংখ্য খামারিদের।