মানিকগঞ্জ সদর থানা এলাকার মাদকসেবী, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু ও বখাটে এবং কিশোর গ্যাং এর নিকট মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছেন ওসি মোঃ হাবিল হোসেন। তিনি সদর থানায় যোগদানের পর থেকে একের পর এক চিহ্নিত মাদকসেবী ও তালিকা ভুক্ত অপরাধীদের গ্রেফতারে দেখিয়েছেন সাফল্য। আর যার কারণে সদর থানা এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সর্বদাই রয়েছে স্বাভাবিক ।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সদর থানা এলাকায় কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন তিনি। সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অসহায় মানুষদের জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করা সহ মানবিক সকল কাজ নিরলস ভাবে পালন করছেন তিনি। থানায় যোগদানের পর অনেক সময় অপরাধীরা অপরাধ সংগঠনের প্রস্তুতির মূহুর্তেই হাতে নাতে আটক হয়েছেন ওসি হাবিল হোসেনের দূরদর্শিতায়। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রেখে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পেছনে ছিল তার ব্যাপক পরিশ্রম। এর আগে কখনো কেউ নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে আবার তা ফিরে পাবেন এমনটা আশা একদমই করতেন না। কিন্তু ওসি হাবিল হোসেন বিপরীত ধর্মী সফলতা দেখিয়েছেন এই হারানো বা চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে।
এছাড়াও ওসি হাবিল হোসেন যোগদানের পরেই থানা এলাকাতে দালাল-বাটপারদের বিচরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ফলে পুলিশের প্রতি বিরূপ ধারণা থেকে বেড়িয়ে এখন সাধারণ মানুষ তাদের সকল সমস্যায় নির্ভয়ে থানায় আসেন এবং তার সাথে সরাসরি কথা বলেন।
ওসি মোঃ হাবিল হোসেন বলেন, সন্ত্রাসী, ভুমিদস্যু, ইভটিজার এরা সমাজের শত্রু। অপরাধীদের প্রতি কোনো প্রকার নমনিয়তা আমার নেই। তারা যত শক্তিশালীই হোক না কেনো আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবেই। পুলিশ হচ্ছে জনগণের সেবক। আমাদের কাজ নিরলস ভাবে জনগণের সেবা প্রদান করা। সাধারণ মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ এখন আগের চাইতে অনেক বেশি দক্ষতা এবং দ্রুততার সাথে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে মোঃ হাবিল হোসেন গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে যোগদান করেন। ইতিপূর্বে তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় একজন সৎ ও নির্ভিক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠা এবং সুনামের সাথে তার ওপর অর্পিত দায়িত্বভার পালন করেছেন।মানিকগঞ্জ সদর থানার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবেও পেয়েছেন সম্মাননা।