আসন্ন ঈদ উল আযহায় ঘরমুখী দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাচঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ও যানবাহন পারাপারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ঘাট প্রস্তুতসহ বিকল ফেরিগুলোর মেরামত করে ঈদে যাত্রীদের যাত্রা নিবিঘ্নে করতে এক সাথে কাজ করছে বিআইডাব্লিউটিসি, বিআইডাব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, এবার ঈদে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ দিয়ে এবার যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে।অন্যদিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌ রুটে পাঁচটি রো-রো ফেরি এবং ১৩টি লঞ্চ ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে অনেকটাই চাপ কমে গেছে একসময়ের দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে। তবে ঈদ এলে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ে এ রুটে। তাই ঘাট কর্তৃপক্ষ ঈদকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
এই নৌ রুট ব্যবহারকারীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে ভোগান্তি ছিল নিত্যদিনের। এখন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে পার হতে পারছে মানুষ ও যানবাহন্।
অপরদিকে,যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তায় ঘাট এবং মহাসড়কে আইন-শৃঙ্খলা পরিরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
বিআইডাব্লিউটিসির আরিচা কার্যলয়ের ডিজিএম শাহ খালিদ নেওয়াজ বলেন, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উভয় পারের ঘাটগুলো ঠিক করা হচ্ছে। নৌ রুটে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি থাকার কারণে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ঈদের আগে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার জানান, মলম পার্টি কিংবা কোনো অসাধু চক্র যাতে যাত্রীদের হয়রানি না করতে পারে তার জন্য ঘাট ও মহাসড়কে সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম ও মোবাইল কোর্ট নিয়োজিত থাকাসহ সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।