
মো: সৈয়দ আলম, লামা উপজেলা প্রতিনিধি।
লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২৪ এর ২য় ধাপে ২১ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছেন নির্বাচন কমিশন-প্রশাসন। এই উপজেলায় মোট ৪১ কেন্দ্র। ভোটার সংখ্যা বিরাশি হাজার তিন। এক পৌরসভা, ৭ ইউনিয়ন। নির্বাচন কমিশনের সময় সূচী অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে টানা বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট চলবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেদের তত্বাবধানে ভোটার ও ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় কয়েক স্তরে ব্যবস্থা নিয়েছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ, আনসার ভিডিপি সদস্যরা সকল কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছে। সোমবার রাত থেকে সেনা বিজিবি টহল দিচ্ছে। সম্ভাব্য সঙ্ঘাত, নাশকতা রোধে সাদা পোষাকে এলাকায় চষে বেড়াচ্ছে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার নির্বাচন মাঠ নজদারিতে যতেষ্ট সজাগ রয়েছে প্রশাসন। দলীয় প্রতীক বিহীন নির্বাচন হওয়ায়, প্রার্থীর সংখ্যাও অনেক বেশি। চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামাল। তিঁনি বিগত ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীকে একজন রিক্সা ভ্যান চালককে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। মূলতঃ ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পার্বত্য এই উপজেলায় পালা বদলে আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম মোহাম্মদ ইসমাইল সাহেব এর রাজত্ব ছিল। ২০১৯ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ঠিক নির্বাচনের আগেই তিঁনি হঠাৎ মৃত্যবরণ করায়, প্রার্থী পরিবর্তন হয়। কিন্তু এই উপজেলায় মরহুম মোহাম্মদ ইসমাইল এর মতন মোস্তফা জামাল ব্যক্তি ইমেজ এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করতে না পারায়, এখানে তার বিপরিতে হানা দেয় জাকির হোসেন মজুমদা। বিএনপি সমর্থিত হোন্ডা মার্কা প্রতীক নিয়ে ভোট মাঠে রীতিমত তুফান তুলেছেন এই প্রার্থী। একেবারে অল্প বয়সে পরপর দু’বার উপজেলার ৩ নং ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কতিথ আছে, সর্বশেষ ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনে ভোট গণনায় তাকে হারিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে চেয়ারম্যান ঘোষনা করায়। এছাড়া তার পিতা মরহুম আমির হোসেন মজুমদার ১৯৮৯ সালে স্থানীয় সরকার পরিষদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পরিষদে বলিষ্ট ভূমিকা রেখে নেতৃত্ব দেন। এর পর ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে কযেকবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। সুতারাং পৈত্রিকভাবে ও ব্যক্তি ইমেজে বিশাল জনপ্রিয়তা নিয়ে ভোট মাঠে নেমেছেন জাকির হোসেন মজুমদার।