
খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো :
খুলনার পাসপোর্ট অফিস এখন দালালদের রামরাজত্ব সবকিছুই চলে তাদেরই নিজস্ব তদারকিতে নতুন পাসপোর্ট তৈরি থেকে পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউ করার ক্ষেত্রে এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন ও ছবি তোলা সহ সকল খানেই দালালদের পদচারণা অথচ উর্ধ্বতন কর্তারা রয়েছে নীরবে।
এ ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের অভিযোগ থাকলেও এর কোনো প্রতিকার হচ্ছে না।
গুরুত্বপূর্ণ এই অফিসটিতে সাধারণ গ্রাহকদের থেকে ও দালালদের দৌরাত্ব অনেক বেশি।
রাত পোহালেই অফিস খোলার সাথে সাথে স্থানীয় দালাল চক্ররা এসে বিভিন্ন কৌশলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অফিসের কতিপয় কিছু অফিসারদের সাথে গোপনে আঁতাত করে বিভিন্ন কায়দায় বহিরাগত গ্রাহকদের স্বল্প সময়ে নির্ঝঞ্ঝাটে ঝামেলা মুক্তভাবে পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
এক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসের ডিউটিরত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা রয়েছে নিরব ভূমিকায়।
তবে এই দালাল চক্রের সঙ্গে স্থানীয় কিছু ভিসা এজেন্সি অফিসের কর্মকর্তাদের সখ্যতা রয়েছে বলে সত্যতার প্রমাণ মিলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছু এমন একজন গ্রাহক বলেছে গত তিন মাস আগে আমি এই দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে দুটি পাসপোর্ট করার জন্য প্রতারক দালালের কথা মতো প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও দুই কিস্তিতে মোট ২০ হাজার টাকা দিয়ে ১০ বছর মেয়াদ এর দুটি পাসপোর্ট করতে দিয়ে তিন মাস যাবৎ দালালদের পিছনে ঘুরলেও আজ পর্যন্ত আমার এবং আমার স্ত্রীর ছবি তোলার কাজটি এখনো শেষ করতে পারেনি।
ভুক্তভোগী গ্রাহক আরো বলেন তিন মাস যাবৎ ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন পাসপোর্ট অফিসটিতে ঘুরে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়েছে এখানকার দালাল চক্রের হাত কত লম্বা ও শক্তিশালী।
এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত এখানে ঘটলেও পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তারা জেনেও না জানার অজুহাত তাদের।
তবে বেশ কিছু গ্রাহকদের অভিযোগসূত্রে এখানকার উর্ধশতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর দালাল চক্রের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আমার বোধগম্য হয়না এখন বর্তমান যুগে সবাই সচেতন থাকা সত্ত্বেও কিভাবে দালাল চক্রের হাতে পড়ে প্রতারিত হয়।
কারণ প্রয়োজনীয় সকল পেপারস অনলাইনে সাবমিট করে এখানে
এসে নিয়ম অনুযায়ী ছবি তুলারপর আর কিছু বাকি থাকে বলে আমার মনে হয় না।
তিনি আরো বলেন প্রতিটি সরকারি অফিসে কিছু না কিছু দালালের আনাগোনা থাকে।
তবে এখানকার বিষয়টি একটু অন্যরকম।
কারণ এখানকার স্থানীয় বহিরাগত কতিপয় কিছু ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বেশ কিছুদিন যাবত দালাল চক্রর উৎপাতের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি।
তবে এ বিষয়ে আমি অচিরেই ব্যবস্থা নেবে।
যাতে করে একমাত্র অফিসের কর্মকর্তা এবং গ্রাহক ব্যতীত বহিরাগতরা পাসপোর্ট অফিস সীমানার মধ্যে প্রবেশ করলে এখানকার নিয়োজিত প্রশাসন দ্বারা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।