
আজ বেলা প্রতিবেদক
মুখরোচক ফলের মধ্যে আম অন্যতম। কাঁচা কিংবা পাকা আমপ্রেমীদের কাছে আম মানেই প্রিয় একটি ফল। এ মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। স্বাদের দিক থেকে সাধারণত কাঁচা অবস্থায় টক আর পাকা অবস্থায় আম মিষ্টি হয়ে থাকে।
গরমের এ ফলটি যেমন শরবত হিসাবে পান করা যায় তেমনি মরিচ, চিনি লবণ দিয়ে কাঁচা আমের ভর্তাও লোভনীয় একটি খাবার। অনেকেই সারা বছর আমের স্বাদ নেওয়ার জন্য নানাভাবে আমের আচার করে থাকেন। এতে করে আম দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এ আমের আছে নানা গুণাবলি।
১. পাকা আম আয়ু বৃদ্ধি করে, শক্তি বৃদ্ধি করে, মন প্রফুল্ল করে।
২. শরীর স্নিগ্ধ করে, শরীর শীতল করে, বাতের কষ্ট কমিয়ে দেয় অর্থাৎ বাতঘ্ন, হার্টের পক্ষে উপকারী।
৩.গায়ের রং ফর্সা করে, বর্ন প্রসাদ
৪. ক্ষিধে ও রুচি বাড়ায়, চোখের ঝজঃ
৫. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
৬. ঘুম বৃদ্ধি করে
৭. লিভারের পাচকরস উৎপাদন বৃদ্ধি করে
৮. পাকা আম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে,
চলেছে পাকা আম যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে, বিশেষ করে গরুর দুধ এবং পাকা আম একত্রে খেলে যৌনশক্তি বহুলাংশে বৃদ্ধি করে।
৯. আম দুধ একত্রে খেলে চেহারা সুন্দর হয়।
১০. জ্বর কিংবা সর্দি কাশি থেকেও আপনাকে সুরক্ষিত রাখে।
এছাড়াও আম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন ও ক্যালরি যা শরীরে শক্তি তৈরি করে। আমের আয়রন, আঁশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও খনিজ উপাদান শরীর সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি-কাশি দূর করে, খিদে ও রুচি বাড়ায় ইত্যাদি।
তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় আম যুক্ত করুন। এতে করে আপনার রক্তচাপ যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে তেমনি ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রেও অল্প পরিমাণে আম শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এ ছাড়া নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এ পাকা আমের জুড়ি নেই।
সাবধানতাঃ ডায়াবেটিস, ওজন বেশী, প্রোটিন, ফ্যাট, আমাশয়ের রুগীরা স্বল্পমাত্রায় খেতে পারেন।