
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে বকনা বাছুর বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গাভীর দুধ ছাড়ে নাই চর্মরোগে আক্রান্ত পাতলা পায়খানা করছে এমন ধরনের বাকনা বাছুর বিতরন করা হযেছে। এছাড়া বকনা বাছুর প্রকৃত অসহায় জেলেরা পায়নি এমনও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (২৫এপ্রিল) সাড়ে ১২ টার দিকে মৎস্য বিভাগ ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলে পরিবার বেকার থাকায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসাবে গরু (বকনা বাছুর) ১৮জন মৎস্য জেলেদের মাঝে বিতরন করা হয়।
সদর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়. উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নদীর নিকটবর্তী নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে অক্ষত, স্বাস্থ্যবান ও দেশি প্রজাতির গরু (বকনা বাছুর) ৭-১০ মাস বয়সি ৪০-৫০ কেজি ওজনের বাছুর বিতরণ এবং প্রতিটির মূল্য ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণের নিয়মাবলি থাকলেও তা মানা হয়নি। তবে জানা গেছে, সুফলভোগীদের মধ্যে এ প্রকল্পে আরও বিতরণ করা হবে।
কাওয়াখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, কে বা কাহারা জেলেদের তালিকা মৎস্য অফিসে দিয়েছে এ বিষয়ে আমি জানি না।
সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবিদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি তবে যাদের দিয়েছে তাদের চাইতে অনেক জেলে গরীব ছিল। যাচাই বাছাই কিভাবে করেছে তা জানি না।
কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সবুর আলী সেখ বলেন, আমার এরিয়ায় কে পেল। প্রকৃত জেলেরা কি না? এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
মেছড়া ইউনিয়ন পরিষদের আব্দুল মজিদ বলেন, বকনা বাছুর এর আগে করেছে সেই সময়ের যাচাই বাছাইয়ে ছিলাম কিন্তুু এবার বিতরনের বিষয়ে কিছুই জানি না।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে শুধু উপস্থিত ছিলেন। বকনা বাছুর বয়স, ওজন ও ক্ষতের চিত্র দেখে এলার্জি /dermatitis রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, কোটেশনের মাধ্যমে রাজবাড়ীর এক ঠিকাদার বাছুর সংগ্রহ করে দিয়েছে। সদর উপজেলার নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে চার লক্ষ আশি হাজার টাকা মূ্ল্যের ১৮টি বকনা বাছুর বিতরন করা হয়েছে। তালিকা প্রস্তুতে অনিয়ম এবং চর্মরোগ ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বকনা বাছুরগুলো জেলেদের মাঝে দেয়ার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তবে যারা পেয়েছে তারা আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়নি। যাচাই বাছাইয়ে প্রকৃত জেলেদের পাওয়া বিষয়ে তিনি জানান, এই তালিকা এখন করা হয়নি। আজ থেকে ৪-৫ মাসে পূর্বে এই তালিকা করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহীনুর রহমান বলেন, ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলে পরিবার বেকার থাকায় বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ হিসাবে গরু (বকনা বাছুর) বিতরন করা হয়েছে। প্রকৃত জেলে যাচাই বাছাই ও অক্ষত বাছুর নির্ধারনের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।