পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে কিশোরগ্যাং গ্রুপ কমরেড বাহিনীর হামলায় মো. তন্ময় নামে কলেজ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার (১৩এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার কালাইয়া বন্দরের বড়পুকুর পাড়ে মুড়িঘর এলকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
আহত ওই কলেজ শিক্ষার্থীর নাম মো. তন্ময় (১৮)। সে চরকালাইয়া গ্রামের খোকন পলোয়ানের ছেলে এবং কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
আহত তন্ময় ও তার সহপাঠিরা জানান, ঘটনার সময় বড়পুকুর পাড়ে বসে তারা আড্ডা দিতেছিল। পাশে মুড়িঘরে কিশোরগ্যাং গ্রুপ কমরেড বাহিনীর প্রায় ২০/২৫জন সদস্য অবস্থান করছিল। একপর্যায় কোনো কারণ ছাড়াই কিশোরগ্যাং বাহিনীর প্রধান মো. রিশাদ ওরফে কমরেড রিশাদ (১৭) কলেজ শিক্ষার্থী তন্ময়কে মুড়িঘরের বালুর মাঠে ডেকে নিয়ে মারধর শুরু করে। লোহার রড, লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে কলেজছাত্রের মাথা, ঘাড়, হাত, পিঠসহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এসময়ে সহপাঠিরা বাঁচাতে গেলে তাদেরও মারধর করে কমরেড বাহিনীর সদস্যরা।
কালাইয়া বন্দরের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কিশোরগ্যাং বাহিনী বড় পুকুর পাড়ের মুড়িঘর, পুরানো পুলিশ ফাঁড়ি, মাদ্রাসা রোড ও খাদ্য গুদাম এলাকায় দলবেধে অবস্থান করেন। তাদের বাহিনীর নাম দিয়ে দেয়ালে দেয়ালে লিখে রেখেছেন ‘কমরেড বাহিনী’। এ বাহিনীর অত্যাচারে স্কুল কলেজ মাদ্রাসাগামী ছাত্রী ও পথচারীরা অতিষ্ঠ। মাদক সেবন, মাদক বিক্রি, ভাড়ায় মারামারি, ইভটিজিং সহ বিভিন্ন কিশোর অপরাধে জড়িত কমরেড বাহিনী। এর আগে তাদের হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন অনেকে।
চিকিৎসাধীন আহত কলেজ শিক্ষার্থী তন্ময বলেন, আমরা বন্ধুরা আড্ডা দিতেছিলাম। কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে বেধরক মারধর করে। লাঠি রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।
অভিযুক্ত কমরেড বাহিনীর প্রধান মো. রিশাদ ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, কিশোর গ্যাং দমনে পুলিশ কাজ করছে। এঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
