
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ।।
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বলাৎকারের পর হাত-পা ও মুখ বেঁধে মো. আহসান বিশ্বাস (৫) নামের এক শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলার চরকচুরিয়া গ্রামের জনৈক দাউদ শরীফের পান বরজের পাশের একটি গর্ত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, শিশুটিকে বলাৎকারের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে শিশুটির পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে এই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। হত্যার শিকার শিশু মো. আহসান বিশ্বাস নড়াইল জেলার নড়াগাতি উপজেলার চরশুকতাইল গ্রামের কামরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে। সে মায়ের সঙ্গে মোল্লাহাট উপজেলার চরকচুরিয়া গ্রামে নানা ফিরোজ আহমেদের বাড়িতে থাকত। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান।
শুক্রবার (০৬ এপ্রিল) বিকেলে নানা বাড়িতে প্রতিবেশীর বাড়িতে আম কুড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি। রাতে তার বাবা মোল্লাহাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। রাতেই পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। না পাওয়ায় সকালেও চলে অভিযান। অবশেষে শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে পান বরজের মালিক দাউদ শিশুটিকে পাশের একটি গর্তের মধ্যে সুপারির পাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেখতে পান।
এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন মা হুমায়রা বেগম। জ্ঞান ফিরলেই ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়ে বিলাপ করছেন। স্বজনদের শত আশ্বাসেও শান্ত হচ্ছে না মায়ের মন।
নিহত শিশুটির মা হুমায়রা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই। আমি আর কিছু চাই না।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে শিশুটিকে বলাৎকারের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।