
স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ
নওগাঁয় কর্ণফুলী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির নামে সমবায় অফিস থেকে অনুমোদন নিয়ে সমিতির সদস্যদের নিকট হতে শেয়ার ও সঞ্চয় আদায় এবং ঋণদানের মাধ্যমে আর্থ-নির্রভরশীল করে গড়ে তোলা ও সদস্যদের ভাগ্য উন্নয়ন করার জন্য জেলার মহাদেবপুর,মান্দা পোরশা,সাপাহার, বদলগাছী,ও পত্নীতলা উপজেলায় শাখা স্থাপন করে এলাকার পাঁচশত গ্রাহকের প্রায় বিশ কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাথের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্ণফুলী সঞ্চয় ও সঞ্চয় সমবায় সমিতির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার বিচারসহ পাওনা টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার সার্কিট হাউজের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। কর্ণফুল সমবায় সমিতির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম মহাদেবপুর উপজেলার উত্তর গ্রাম ইউনিয়নের বামন সাতা গ্রামের খোদা বক্স মন্ডলের ছেলে। বেশ কয়েকটি উপজেলায় কর্ণফুলী নামে শাখা পরিচালিত হতো বর্তমানে সেই শাখা গুলো তালাবদ্ধ।
ভুক্তভোগী জনসাধারণ ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মো. সাঈদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্যদেন বামন সাতা গ্রামের রবিউল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, রুকসানা পারভীন, উম্মে হাবিবা, লিটন হোসেন, মিলন, রেজাউল করিম প্রমুখ। তারা বলেন, প্রতি লাখে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা লাভ দেওয়ার কথা বলে অত্র সমিতিতে সঞ্চয় রাখার উৎসাহ প্রদান করে। আমরা সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে চাইলে আজ নয় কাল বা পরশু আসেন বলে কাল ক্ষেপন করতে থাকেন আশরাফুল ইসলাম। এমন নানা অজুহাতে নির্ধারিত সময়ে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও দেননি। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা সমবায় অফিসার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ কারীদের একজন মান্দা উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ লিটন হোসেন বলেন, তাকে প্রতি মাসে আড়াই হাজার টাকা করে লাভ দেওয়ার কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করান। কয়েক মাস লাভ দেওয়ার পর সেটি বন্ধ করে দেন। এরপর সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন। বার বার তাগাদা দেওয়া সত্বেও একটি টাকাও ফেরত পাননি তিনি। গত সাতদিন ধরে সভাপতি, সম্পাদক সকল স্টাফ সবাই উধাও।
বদলগাছি উপজেলার বাসিন্দা মিলন হোসেন বলেন, মাসে মাসে লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য এক বছর আগে কর্ণফুলী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির সভাপতির হাতে ১০ লক্ষ দিয়েছিলাম। আমাকে এখন আর লভ্যাংশ দেন না টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করেন এখন দেখি অফিস বন্ধ। বার বার ধরনা দিয়েও কোন কাজ হয়নি। টাকা দিয়ে এখন আমি পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহাদেবপুর, মান্দা পোরশা,সাপাহার, বদলগাছি,ও পত্নীতলা উপজেলার প্রায় পাঁচশত মানুষ এভাবে লাভের আসায় টাকা দিয়ে ধরা খেয়েছেন।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী সমবায় সমিতি লি: মালিক আশরাফুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।